ABOUT US

Our development agency is committed to providing you the best service.

OUR TEAM

The awesome people behind our brand ... and their life motto.

  • Neila Jovan

    Head Hunter

    I long for the raised voice, the howl of rage or love.

  • Mathew McNalis

    Marketing CEO

    Contented with little, yet wishing for much more.

  • Michael Duo

    Developer

    If anything is worth doing, it's worth overdoing.

OUR SKILLS

We pride ourselves with strong, flexible and top notch skills.

Marketing

Development 90%
Design 80%
Marketing 70%

Websites

Development 90%
Design 80%
Marketing 70%

PR

Development 90%
Design 80%
Marketing 70%

ACHIEVEMENTS

We help our clients integrate, analyze, and use their data to improve their business.

150

GREAT PROJECTS

300

HAPPY CLIENTS

650

COFFEES DRUNK

1568

FACEBOOK LIKES

STRATEGY & CREATIVITY

Phasellus iaculis dolor nec urna nullam. Vivamus mattis blandit porttitor nullam.

PORTFOLIO

We pride ourselves on bringing a fresh perspective and effective marketing to each project.

  • বাংলাদেশ পুলিশের ইতিহাস

    বাংলাদেশ পুলিশের ইতিহাস


    প্রাচীন যুগ:

    পুলিশের একটি দীর্ঘ এবং অনেক পুরোনো ইতিহাস আছে। ইতিহাসের একটা গবেষণা দেখায় যে পুলিশ ছিল পুরাতন সভ্যতা হিসাবে। রোম শহরে পুলিশ দেশ সম্পর্কে অগাস্টাস সময়ে ওঠে মুষ্টি শতাব্দীর খ্রিস্টপূর্বাব্দে এর মধ্য প্রতি একটি বিশেষ প্রতিষ্ঠান, পুলিশি ইতিহাস বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও খুব পুরানো
    মানুসংগীতা, চিত্রলিপিতে সম্রাট অশোক, এবং প্রখ্যাত ভ্রমণকারীরা আমাদের ইতিহাস রচনার মূল উৎস। এই সূত্র থেকেই এই দ্বার এবং বাংলাদেশ পুলিশের খণ্ডিত ইতিহাস রচিত হয়। অর্থশাস্ত্র এর মধ্যে কৌতিল্য দ্বারা, নয়টি গুপ্ত চর ধরন উল্লেখ করা হয়। এই সময় পুলিশি বুদ্ধিমত্তা সংগ্রহ করার জন্য বিরোধী কার্যক্রম এবং সরকারী প্রতিবন্ধক সমাজের মধ্যে আইন ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য প্রচেষ্টা সীমাবদ্ধ ছিল। গুপ্ত চর দায়িত্ব এমনভাবে যে তারা সেনাবাহিনী, বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা কার্যকলাপের উপর নজরদারি বাড়ানো আচার ব্যবহার করা হয়। এই জন্য লোভ এবং উসকানি সব অর্থ ব্যবহার করা হয়। অনুসন্ধান কৌশল এবং তদন্ত কর্তৃপক্ষ সম্পর্কে তথ্য অর্থশাস্ত্র মধ্যে খুঁজে পাওয়া যেতে পারে। শাস্তি প্রক্রিয়ার অভিযুক্ত এই বইয়ে পাওয়া যায়। তাই এটি ছিল অধিকৃত যে স্বশাসিত স্থানীয় নিয়মের অধীন সেখানে গ্রামীণ ও শহুরে এলাকায় পুলিশ এক ধরনের হতে পারে।

    মধ্যযুগীয় সময়কাল:

    মধ্যযুগীয় সময়ে পুলিশি কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায় না। মহান সুলতানদের সময়ে একটি সরকারী পুলিশি স্থর বিন্যাস লক্ষ্য করা যায়। শহর অঞ্চলে কোতোয়াল পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তা দায়িত্বে ছিলেন। মোঘল আমলের পুলিশি ব্যবস্থা সংক্রান্ত তথ্য আইন-ই-আকবরী গ্রন্থে পাওয়া যেতে পারে। মধ্যযুগের পুলিশি ব্যবস্থা শেরশাহ শুরী দ্বারা প্রবর্তিত, মহান সম্রাট আকবরের সময়কালে এই ব্যবস্থা আরও সংগঠিত হয়। সম্রাট তার ফৌজদারী প্রশাসনিক কাঠামো (সম্রাটের প্রধান প্রতিনিধি) মীর আদাল এবং কাজী (বিচার বিভাগ প্রধান) এবং কোতোয়াল (প্রধান বড় শহরে পুলিশ কর্মকর্তা) এই তিন ভাগে ভাগ করেন। এই ব্যবস্থা শহরের আইন ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে খুব কার্যকর হিসাবে পরিগনিত হয়। কোতোয়ালী পুলিশ ব্যবস্থা ঢাকা শহরের মধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে। অনেক জেলা সদর পুলিশ স্টেশনকে এখনও বলা হয় কোতোয়ালী থানা। মোঘল আমলে কোতোয়াল একটি প্রতিষ্ঠান হিসাবে আবির্ভূত হয়।একজন ফৌজদার সরকারের প্রশাসনিক ইউনিট (জেলা) প্রধান পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। কিছু ফৌজদারের অধীনে কামান এবং অশ্বারোহী সৈন্য বাহিনীও ছিল। থানাদার পদাদিকারীরা ছোট জায়গার মধ্যে পরগনা বিভাজক হিসাবে নিযুক্ত হতেন। মোঘল আমল পর্যন্ত যদিও একটি সুশৃঙ্খল পেশাদারী ব্রিটিশ পুলিশ সিস্টেম প্রবর্তিত হয়নি। তবুও সাধারণভাবে, এটি প্রতিষ্টিত ছিল মুসলিম শাসকদের রাজত্বের সময়ে এখানে আইন শৃঙ্খলা এবং অপরাধ প্রতিরোধমূলক প্রশাসন অত্যন্ত কার্যকর ছিল।

    ব্রিটিশ সময়কাল:

    শিল্প বিপ্লবের কারনে ইংল্যান্ডের সামাজিক ব্যবস্থায় অপরাধের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে স্যার রবার্ট পিল একটি নিয়মতান্ত্রিক পুলিশ বাহিনীর অভাব অনুভব করেন। ১৮২৯ সালে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টে পুলিশ গঠনের বিল আনেন। এর প্রেক্ষিতে গঠিত হয় লন্ডন মেট্রো পুলিশ। অপরাধ দমনে বা প্রতিরোধে এর সাফল্য শুধু ইউরোপ নয় সাড়া ফেলে আমেরিকায়ও। ১৮৩৩ সালে লন্ডন মেট্রো পুলিশের অনুকরনে গঠিত হয় নিয়ইয়র্ক সিটি নগর পুলিশ কর্তৃপক্ষ গঠিত হয়।
    ১৮৫৬ সালে ভারত শাসনের পূর্ণ নিয়ন্ত্রন ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নিকট হতে বৃটিশ সরকার গ্রহন করে। পিলস অ্যাক্ট ১৮২৯ এর অধীনে গঠিত লন্ডন পুলিশের সাফল্য ভারতে স্বতন্ত্র পুলিশ ফোস গঠনে বৃটিশ সরকারকে অনুপ্রানিত করে। ১৮৬১ সালে the commission of the Police Act (Act V of 1861) বৃটিশ পার্লামেন্টে পাশ হয়। এই আইনের অধীনে ভারতের প্রতিটি প্রদেশে একটি করে পুলিশ বাহিনী গঠিত হয়। প্রদেশ পুলিশ প্রধান হিসাবে একজন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ এবং জেলা পুলিশ প্রধান হিসাবে সুপারিটেনটেন্ড অব পুলিশ পদ সৃষ্টি করা হয়। বৃটিশদের তৈরীকৃত এই ব্যবস্থা এখনও বাংলাদেশ পুলিশে প্রবর্তিত আছে।

    পাকিস্তান সময়কাল:

    ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর বাংলাদেশের পুলিশের নাম প্রথমে ইষ্ট বেঙ্গল পুলিশ রাখা হয়। পরবর্তীতে এটি পরিবর্তিত হয়ে ইষ্ট পাকিস্থান পুলিশ নাম ধারন করে। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পূর্ব পর্যন্ত এই নামে পুলিশের কার্যক্রম অব্যহত থাকে।
    বাংলদেশের মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা:
    বাংলাদেশ পুলিশের ইতিহাসে সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল সময় হল ১৯৭১ সাল। মহান মুক্তিযুদ্ধে একজন ডিপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল, বেশ কয়েকজন এসপি সহ প্রায় সব পর্যায়ের পুলিশ সদস্য বাঙ্গালীর মুক্তির সংগ্রামে জীবনদান করেন। ১৯৭১ সালের মার্চ মাস হতেই প্রদেশের পুলিশ বাহিনীর উপর কর্তৃত্ব হারিয়েছিল পাকিস্থানের প্রাদেশিক সরকার। পুলিশের বীর সদস্যরা প্রকাশ্যেই পাকিস্থানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। তারা ২৫ শে মার্চ ১৯৭১ তারিখে ঢাকার রাজারবাগের পুলিশ লাইন্সে ২য় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত বাতিল .৩০৩ রাইফেল দিয়ে পাকিস্থানী সেনাবাহিনীর অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্রে বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পাকিস্থানী হানাদারদের বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা। এই সশস্ত্র প্রতিরোধটিই বাঙ্গালীদের কাছে সশস্ত্র যুদ্ধ শুরুর বার্তা পৌছে দেয়। পরবর্তীতে পুলিশের এই সদস্যরা ৯ মাস জুড়ে দেশব্যাপী গেরিলা যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন এবং পাকিস্থানী সেনাদের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ১২৬২ জন শহীদ পুলিশ সদস্যের তালিকা স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিল পত্রে উল্লেখ পাওয়া যায়।
    প্রসঙ্গত ঝিনাইদহের তত্কালীন সাব-ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার মাহবুবউদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ মুজিব নগর সরকারের শপথ গ্রহন অনুষ্টান শেষে ঐতিহাসিক গার্ড অব অনার প্রদান করেন।

    বাংলাদেশ সময়কাল:

    মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশ পুলিশ নামে সংগঠিত হয়। বাংলাদেশ পুলিশ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের পুলিশ বাহিনীর মতো আইন শৃঙ্খলা রক্ষা, জনগনের জানমাল ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধান, অপরাধ প্রতিরোধ ও দমনে প্রধান ভুমিকা পালন করে থাকে। মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ পুলিশের ট্রাডিশনাল চরিত্রে বিরাট পরিবর্তন এনে দিয়েছে। শুধু আইন পালন আর অপরাধ প্রতিরোধ বা দমনই নয় দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে। গত এক দশকে জঙ্গীবাদ দমন এবং নিয়ন্ত্রনে বাংলাদেশ পুলিশ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। পুলিশের সদস্যরা তাদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা আর পেশাদরিত্ব দিয়ে অপরাধ মোকাবিলায় প্রতিনিয়ত সৃজনশীলতার পরিচয় দিচ্ছেন। ঘুষ দুনীর্তির কারনে একসময়ে অভিযুক্ত এই বাহিনী তার পেশাদরিত্ব আর জনগনের প্রতি দায়িত্ববোধের পরিচয় দিয়ে জনগনের গর্বের বাহিনীতে পরিনত হয়েছেন।
    Police HistoryHistory of police
  • বাংলাদেশের আইনের ইতিহাস **

    বাংলাদেশের আইনের ইতিহাস **

    বাংলাদেশের বর্তমান আইন ও বিচার ব্যবস্থা ভারতীয় উপমহাদেশে প্রায় দু’শ বছরের বৃটিশ শাসনের কাছে বহুলাংশে ঋণী, যদিও এর কিছু কিছু উপাদান প্রাক-বৃটিশ আমলের হিন্দু এবং মুসলিম শাসন ব্যবস্থার অবশিষ্টাংশ হিসেবে গৃহীত হয়েছিল। এটি বিভিন্ন পর্যায় অতিক্রম করে একটি ঐতিহাসিক প্রক্রিয়া হিসেবে পর্যায়ক্রমে বিকাশ লাভ করে। এ বিকাশের প্রক্রিয়াটি আংশিক স্বদেশী ও আংশিক বিদেশী এবং গঠন প্রণালী, আইনগত ধারণা ও নীতিমালার ক্ষেত্রে ইন্দো-মোঘল এবং বৃটিশ উভয় ব্যবস্থার সমন্বয়ে উদ্ভূত একটি মিশ্র আইনী ব্যবস্থা। ভারতীয় উপমহাদেশের বৃটিশ আমলের পূর্ববর্তী পাঁচশত বছরেরও বেশী মুসলিম ও হিন্দু শাসনের একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। প্রত্যেকটি শাসনামলের নিজস্ব স্বতন্ত্র আইন ব্যবস্থা বিদ্যমান ছিল।
    প্রায় পনের’শ বছর আগে এবং খ্রীষ্টীয় যুগ আরম্ভ হওয়ার পরে হিন্দু আমলের বিস্তৃতি ঘটে। সে সময় প্রাচীন ভারতবর্ষ কতিপয় স্বাধীন রাজ্যে বিভক্ত ছিল এবং রাজা ছিলেন প্রত্যেকটি রাজ্যের সর্বময় কর্তা। বিচার ব্যবস্থা তথা ন্যায় বিচার প্রসঙ্গে রাজা ন্যায় বিচারের উৎস হিসেবে বিবেচিত হতেন এবং তাঁর রাজত্বে বিচার প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হতেন।
    ১১০০ খ্রীষ্টাব্দে ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলমান শাসকদের আক্রমণ ও বিজয়ের ফলে মুসলমান আমলের শুরু হয়। একাদশ শতাব্দীর শুরুতে এবং দ্বাদশ শতাব্দীর ক্রান্তিলগ্নে মুসলমান শাসকদের আক্রমণের মুখে হিন্দু রাজত্ব পর্যায়ক্রমে খন্ড বিখন্ড হতে শুরু করে। যখন মুসলমানরা সকল রাজ্য জয় করে, তখন তারা তাদের ধর্মীয় গ্রন্থ পবিত্র কোরআনের উপর ভিত্তি করে তৈরি মতবাদও তাদের সঙ্গে করে এনেছিল।
    রাজা প্রথম জর্জ কর্তৃক ইস্যুকৃত ১৭২৬ সালের সনদ ভারতে ইংরেজ আইন ও বিচার ব্যবস্থা চালুর ক্ষেত্রে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করে। এর মাধ্যমেই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী বাণিজ্যের জন্য অনুমোদন পায়। পরবর্তীতে এ সনদের ত্রুটিসমূহ দূর করার লক্ষ্যে রাজা দ্বিতীয় জর্জ ১৭৫৩ সালে নতুন সনদ ইস্যু করেন। এ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য হাউজ অব কমনস- এর গোপনীয় কমিটি হস্তক্ষেপ করে এবং রেগুলেশন এ্যাক্ট, ১৭৭৩ পাশ করে, যার অধীন রাজা কলকাতায় বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রীমকোর্ট প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৭৭৪ সালে একটি পৃথক সনদ ইস্যু করে। পরবর্তী সময়ে ১৮০১ সালে মাদ্রাজে এবং ১৮২৪ সালে বোম্বেতে (বর্তমান মুম্বাই) সুপ্রীমকোর্ট প্রতিষ্ঠা করা হয়।
    ভারতে ১৮৫৩ সালে প্রথম আইন কমিশন প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং একটি সর্ব ভারতীয় আইন সভা সৃষ্টি করা হয় যার প্রণীত আইন সকল আদালতের উপর কার্যকর ছিল। এ সময় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী বিলুপ্ত করা হয় এবং ১৮৫৭ সালের প্রথম স্বাধীনতা আন্দোলন তথা সিপাহী বিপ্লবের পর ১৮৫৮ সালেই ভারতের শাসনভার বৃটিশ রাজা কর্তৃক গ্রহণ করা হয়। দেওয়ানী কার্যবিধি আইন, ফৌজদারী কার্যবিধি আইন, দণ্ডবিধি, সাক্ষ্য আইন ইত্যাদি সেই সময় প্রণয়ন করা হয়েছিল এবং সাধারণ আইনী কাঠামোয় বৃটিশ আইন সভা ১৮৬১ সালে ভারতীয় হাই কোর্ট আইন প্রণয়ন করে যার মাধ্যমে তিনটি প্রেসিডেন্সি শহরে (কলকাতা, বোম্বে ও মাদ্রাজ) প্রতিষ্ঠিত বিদ্যমান সুপ্রীমকোর্ট প্রতিস্থাপন করে হাইকোর্ট স্থাপন করা হয়। হাইকোর্ট প্রতিষ্ঠার পর দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালতের একটি নিয়মিত ক্রমঅধিকারতন্ত্র দেওয়ানী আদালত আইন, ১৮৮৭ এবং ফৌজদারী কার্যবিধি আইন, ১৮৯৮ এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা লাভ করে । ভারতীয় উপ-মহাদেশের দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালতে বিদ্যমান বর্তমান ব্যবস্থার আইনগত ভিত্তি হচ্ছে এই দেওয়ানী আদালত আইন, ১৮৮৭ এবং ফৌজদারী কার্যবিধি আইন, ১৮৯৮। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগষ্ট বৃটিশ আইন সভা ভারত ও পাকিস্তানকে ভারতীয় স্বাধীনতা আইন, ১৯৪৭ এর বলে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করে । এ আইন অনুসারে, স্বাধীন ভারত ও পাকিস্তানের জন্য নতুন সংবিধান রচিত না হওয়া পর্যন্ত এ দুই দেশের সরকার পরিচালিত হবে ভারত সরকার আইন, ১৯৩৫ এর মাধ্যমে। বিচার বিভাগের গঠন প্রণালী ১৯৪৭ সনের আগে যেরূপ ছিল প্রধানত তাই রয়ে গিয়েছে।
    ১৯৩৫ সালের ভারত সরকার আইন সরকারের গঠন পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনে দেয়। ফলে শাসন ব্যবস্থা একক বা কেন্দ্রীয় শাসন পদ্ধতি হতে ফেডারেল পদ্ধতিতে পরিবর্তিত হয়। এ আইনের বিধি অনুসারে ভারত এবং পাকিস্তান উভয় দেশেই নতুন সংবিধান রচিত না হওয়া পর্যন্ত ফেডারেল আদালত চালু রাখা হয়।
    পাকিস্তান গণপরিষদ ‘প্রিভি কাউন্সিল (অধিক্ষেত্র বাতিল) আইন, ১৯৫০’ পাশ করে যা পাকিস্তানের ফেডারেল আদালত হতে প্রিভি কাউন্সিলে আপীল দায়েরের ব্যবস্থাকে বাতিল করেছিল। ১৯৫৬ সালে নতুন সংবিধান প্রবর্তনের মাধ্যমে এর আওতায় প্রদেশসমূহে হাই কোর্ট এবং কেন্দ্রে পাকিস্তান সুপ্রীম কোর্ট প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ফেডারেল আদালত পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত হিসেবে কাজ করেছে। পাকিস্তানের এ সংবিধান ১৯৫৮ সালে বাতিল করা হয়েছিল এবং ১৯৬২ সালে নতুন আরেকটি সংবিধান চালু করা হয়, কিন্তু সমগ্র বিচার কাঠামো একই রয়ে যায়। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ একটি সংবিধান গ্রহণ করে যাতে আপীল বিভাগ এবং হাইকোর্ট বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত সুপ্রীম কোর্টের গঠন প্রণালী ও কার্যক্রম বর্ণনা করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের অধঃস্তন বিচার বিভাগ, দেওয়ানী ও ফৌজদারী ব্যবস্থা উভয়ের উৎপত্তি হয়েছিল দেওয়ানী আদালত আইন, ১৮৮৭ এবং ফৌজদারী কার্যবিধি আইন ১৮৯৮ থেকে। এছাড়াও বাংলাদেশে আরো কতিপয় অন্যান্য বিশেষ আইন আছে, যা কিছু বিশেষ আদালতের ভিত্তিস্বরূপ কাজ করে, যেমন – শ্রম আদালত, শিশু অপরাধ আদালত, প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল ইত্যাদি।

  • জমি কিনতে যে সব সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত

    জমি কিনতে যে সব সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত


    সাধারনভাবে বাংলাদেশে জমি বিক্রির আগে দীর্ঘ মেয়াদী বায়নানামা করা হয়ে থাকে। জমির বায়না করার আগেই এসব কাগজ দেখে নিতে হবে। তবে বর্তমান আইনে জমির বায়না রেজিষ্ট্রি করে নেওয়া বাধ্যতামূলক। জমির বায়না রেজিষ্ট্রি করলে নানা ধরনের ঝামেলামুক্ত থাকতে পারেন। সরকারী ষ্ট্যাম্পে বায়না করার যে নিয়ম প্রচারিত আছে তা না করে রেজিষ্ট্রিমূলে বায়না করা নিরাপদ।
    আপনার জমি যে দলিলে লেখক লিখবেন তার দায়িত্ব হবে জমির সব কাগজপত্র পরীক্ষা করা। তিনি ঠিকভাবে কাগজপত্র পরীক্ষা করছেন কি না তা মিলিয়ে দেখুন।

    কাগজপত্র পরীক্ষা :

    ক্রেতা যার কাছ থেকে জমি কিনবেন তার থেকে ওই জমি-সংক্রান- সব কাগজপত্র চেয়ে নেবেন। জমির সব খতিয়ানসহ (সিএস, আরএস, এসএ ও বিএস খতিয়ান) জমিটি যতবার বেচাকেনা হয়েছে, তার দলিলসমূহ চেয়ে নেবেন। এগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখবেন, বর্তমানে জমির মালিক কে।

    নামজারি :

    জমির যিনি মালিক, তার নামে নামজারি (মিউটেশন) আছে কি না তা নিশ্চিত হতে হবে। যে এলাকায় জমি কিনছেন ওই এলাকার স্থানীয় সহকারী ভূমি কমিশনার অফিসে গিয়ে খোঁজ নিলে নিশ্চিত হওয়া যাবে জমির বর্তমান মালিক কে। যদি দেখা যায় সব কাগজ ঠিক আছে -নামজারি না হয়ে থাকলে কেনার আগে বিক্রেতাকে বলুন তার নামে নামজারি করিয়ে নিতে।

    খাজনা :

    মালিক হালনাগাদ খাজনা (ভূমিকর) পরিশোধ করেছেন কি না, নাকি অন্য কেউ পরিশোধ করেন, তা-ও স্থানীয় তহশিল অফিসে গিয়ে খোঁজ নিতে হবে। খাজনা পরিশোধের কাগজপত্র এনে ভবিষ্যতের জন্য ক্রেতার সংগ্রহে রাখতে হবে।

    সাব-রিজিস্ট্রি অফিসে তল্লাশি :

    ক্রেতা স্থানীয় সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে তল্লাশি দিয়ে দেখবেন প্রস্তাবিত জমি হেবা, দান, বিক্রি বা এওয়াজমূলে কোনোভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে কি না। জেলা সাব রেজিস্টারের অফিস থেকে ১২ বছরের তল্লাশী সহ নির্দায় সার্টিফিকেট (এন.ই.সি.) দেখে নিতে হবে। এ সনদে সর্বশেষ মালিকের নাম থাকে।

    ফারায়েজ বা হিস্যাবন্টন :

    বিক্রেতার শরিকদের সঙ্গে সম্পত্তির হিস্যাবন্টন সতর্কতার সঙ্গে সম্পন্ন করতে হবে। শরিকদের সঙ্গে বিক্রেতার অংশনামা হয়েছে কি না, তা জমি কেনার আগে মিলিয়ে দেখতে হবে। ফারায়েজ অনুযায়ী, বিক্রেতা যেটুকু জমির মালিক, তার বেশি কেনা ঠিক হবে না। অনেক সময় দেখা যায় বিক্রেতা পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমি বিক্রি করছেন।

    নোটিশ :

    জমি বায়না করার আগে আইনের বিধানমতে সব অংশীদারকে নোটিশ দিতে হবে। অন্যথায় পরবর্তীকালে অগ্রক্রয় বা প্রিয়েমশন মামলা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

    পরিত্যক্ত কি না তা পরীক্ষা করতে হবে :

    ক্রেতা যে জমি কিনবেন তা খাস, পরিত্যক্ত বা শক্রসম্পত্তি কি না, তা জানতে হবে। সঙ্গে এ ও জানতে হবে সরকার কোনো কারণে এ জমিটি অধিগ্রহণ করেছে কি না। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসন (ভূমি) অফিসে খোঁজ নিলে এগুলো জানা যাবে।

    বন্ধক ক্ষমতা অর্পন করা আছে কি না:

    জমি বিক্রি ও রক্ষণাবেক্ষনের জন্য কাউকে ক্ষমতা অর্পণ করা অর্থাৎ আমমোক্তারনামা (পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি) আছে কি না, তা দেখতে হবে। এমনকি জমি বন্ধক রেখে কোনো ব্যাংক বা অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঋণ নেওয়া আছে কি না সে সম্পর্কে খোজ খবর নিতে হবে।

    সরেজমিনে জমি দেখা :

    সরেজমিনে গিয়ে ক্রেতাকে জমি দেখতে হবে। জমির কাগজপত্র, দাগ নম্বর ও চৌহদ্দি (চারদিকের অবস্থান) মিলিয়ে দেখতে হবে যে জমি বিক্রি করবে, সেটিই প্রস্তাবিত জমি কি না। জমির চারদিকের সীমানার মালিকদের সঙ্গে প্রয়োজনে কথা বলে নিশ্চিত হতে পারেন আপনাকে যে জমি দেখানো হয়েছে তার প্রকৃত মালিক কে। নাকি দালালেরা অন্যের জমি ক্রেতাকে দখল দিতে যাচ্ছেন। বিক্রির জন্য প্রস্তাবিত জমি বর্তমানে কার দখলে আছে, ক্রয় করলে কোনো কারণে ভোগদখলে বাধাগ্রস্ত হবে কি না বা রাস্তা ও পথ অধিকারে কোনো বাধা-নিষেধ আছে কি না, তা ও ক্রেতাকে সরেজমিনে যাচাই করতে হবে।

    বিক্রির অধিকার বিক্রেতার আছে কি না :

    বিক্রেতার মালিকানা স্বত্ব বা বিক্রির বৈধ অধিকার আছে কি না, তা দেখতে হবে। জমির মালিক নাবালক বা অপ্রকৃতস্থ কি না, তা ও যাচাই করতে হবে। নাবালক হলে আদালতের মাধ্যমে অভিভাবক নিযুক্ত করে জমি বিক্রির অনুমতি নিতে হবে। বিক্রেতা ওই অনুমতি নিয়েছেন কি না, তা-ও পরীক্ষা করে জমি কিনতে হবে।

    মামলা মোকদ্দমা :

    প্রস্তাবিত জমি নিয়ে কোনো মামলা-মোকদ্দমা রয়েছে কি না, তা-ও ক্রেতাকে খুজে দেখতে হবে। কারণ মামলা মোকদ্দমা থাকলে জমি কেনা হলে তা হবে অন্যন- ঝুঁকিপূর্ণ। পত্রিকায় আইনগত বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কয়েকদিন সময় দিয়ে জমি ক্রয় করা উচিত। এতে জমির মালিকানা কেউ দাবি করলে কেনার আগেই তা করতে পারে। ফলে অবাঞ্ছিত ঘটনা এড়ানো সম্ভব হতে পারে।

    > নামজারি-জমা খারিজ: অন্তর্বর্তীকালীন রেকর্ড পরিবর্তন, সংশোধ ও হালনাগাদ প্রক্রিয়া নামজারি ও জমাখারিজ নামে আখ্যায়িত। যেহেতু জরিপকাজ দীর্ঘ ২৪/২৫ বছর পর সম্পন্ন হয়, অতএব এ সময়ের মধ্যে যদি মালিকানা পরিবর্তন হয় তবে সে পরিবর্তন যাতে সরকারি অফিসে রক্ষিত খতিয়ানে যথাযথভাবে লেখা থাকে সেজন্য নামজারির বিধান রাখা হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে গিয়ে নামজারি বা মিউটেশন করিয়ে নেয়া। মিউটেশন না হলে জমির খাজনাও দেয়া যায় না।
    >লক্ষ্য রাখতে হয় : জরিপ কখন হয়েছে, জমির নকশা কোত্থেকে তোলা যায়, নিজের জমি অন্যের নামে জরিপে উঠে গেলে কোথায় মামলা করতে হয়।
    >খতিয়ান রক্ষনাবেক্ষন : জেলা প্রশাসকের রেকর্ডর"মে নতুন প্রাপ্ত খতিয়ান রক্ষনাবেক্ষন করা হয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে, খতিয়ানের জন্য কালেক্টরের কাছে আবেদন করবেন। এর আলোকে রেকর্ড রুমের ভারপাপ্ত কর্মকর্তা সহিমুহুরি নকল সরবরাহ করবেন।
    >জরিপ এর পর জরিপ বিভাগ কাজ সমাপ্ত করার পর খতিয়ানের একটা কপি জেলা জজের কাছেও হস্তান্তর করেন। এই খতিয়ানের আলোকে কোন ব্যক্তি যদি দেখেন যে তার জমি অন্যের নামে রেকর্ড হয়েছে তবে তিনি সহকারী জজ আদালতে সিভিল স্যুট (দেওয়ানি মামলা) দায়ের করেন।
    > মৌজার নকশা ছাড়া খতিয়ান অর্থহীন : তেজগাঁওয়ে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরে আবেদন করে নির্দিষ্ট ফি’র বিনিময়ে যে কোন নকশার ফটোকপি নিতে পারেন। যেসব মৌজার চুড়ান- প্রকাশনা সমাপ্ত হয়েছে সেসব নকশার ফটোকপি এর কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করা যায়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকেও তা সংগ্রহ করা যায়।
    সবকিছু ঠিকঠাক পাওয়া গেলে জমি ক্রয় করা যেতে পারে। তবে উপরের পরীক্ষা-নিরীক্ষা কাজ ক্রেতা নিজে সম্পন্ন করতে না পারলে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়ে তা করা যেতে পারে। ক্রেতা দেওয়ানী আইনে অভিজ্ঞ কোনো আইনজীবির পরামর্শ ও মতামত নিয়ে জমি রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করতে পারেন।
    জমি কিনতে যে সব সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত

  • দেওয়ানী মোকদ্দমার স্তরসমূহ:

    দেওয়ানী মোকদ্দমার স্তরসমূহ:

    আদালত সম্পর্কে বিচার প্রার্থীদের অনভিজ্ঞতা এবং ভয় ভীতি পরোক্ষভাবে আদালতের দাড়গোড়ায় তাদের ভোগান্তি বৃদ্ধি করে। মামলা সাধারণত ফৌজদারী বা দেওয়ানী এই দুই প্রকারের হয়। জমি জমা বা সম্পদ এবং পদ সংক্রান্ত মামলাকে দেওয়ানী মামলা বলা হয়। দেওয়ানী মামলা বিচারে কয়েকটি ধাপ আছে এবং প্রতিটি ধাপের জন্য আইনের কিছু নির্দিষ্ট বিধান রয়েছে। দেওয়ানী মামলার পূর্ব শর্ত আরজি গঠন। বাদীর নালিশের লিখিত বিবরণকে আরজি বলা হয়।

    ১। মামলা দায়ের ও আরজি গ্রহণ:

    দেওয়ানী মামলা শুরু হয় আরজি গ্রহণের মাধ্যমে। দেওয়ানী আদালতের সেরেস্তাদার বা তার অনুপস্থিতিতে সেরেস্তাদার হিসেবে কর্মরত কর্মচারী মামলার আর্জি গ্রহণ করে আরজির গায়ে বা তার সাথে যুক্ত অর্ডারশিটে বা স্লিপে মামলার ফাইলিং নম্বর লিখবেন। যেমন- দেওয়ানী মামলা নং - ১০০/২০২৫(এর অর্থ হল ঐ আদালতের ২০২৫ সালের ১০০ নম্বর দেওয়ানী মামলা)।
    এরপর সেরেস্তাদার অর্ডারশিটে আলাদা করে এবং সিল মোহর লাগিয়ে যিনি আর্জি উপস্থাপন করবেন তার কাছে ফেরত দিবেন। এরপর আর্জির সাথে দাখিল হতে পারে এরূপ সকল কাগজ পত্রে মামলার নম্বর উল্লেখ করতে হবে। সেরেস্তাদার আর-১২ ফাইলিং রেজিষ্টারে (যাকে সু্ট রেজিষ্টারও বলা হয়) আর্জির বিষয় বস্তু ক্রমানুসারে লিপিবদ্ধ করবেন। সাধারণত যেদিন আর্জি গ্রহণ করা হয়, সেদিনই তা নিবন্ধকৃত হয়।
    সেরেস্তাদার আর্জি পরীক্ষা করে আর্জির প্রথম পৃষ্ঠার বাম প্রান্তের উপরিভাগে ষ্ট্যাম্প পর্যাপ্ত হয়েছে কিনা তা লিখবেন। অপর্যাপ্ত ষ্ট্যাম্প থাকলে তাও উল্লেখ করবেন এবং বাকী ষ্ট্যাম্প আদায়ের পর ২য় বার তা উল্লেখ করে প্রত্যায়ন করবেন(সি. আর. ও, ভলিউম -১, বিধি-৫৫)। ২১ দিনের মধ্যে বাকী ষ্ট্যাম্প প্রদান করতে হয়। এইভাবে একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করা হয়।

    ২।আর্জি ফেরত বা প্রত্যাখ্যান:

    আর্জি ফেরত বা প্রত্যাখান হওয়া উচিত মনে করলে সেরেস্তাদার তা বিচারকের নিকট উল্লেখ করবেন। বিচারক আইন অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্তা গ্রহণ করবেন (সি. আর. ও, ভলিউম-১, বিধি-৫৫)। কোন কারণে আর্জি সঠিকভাবে মূল্যায়িত না হলে তা সংশোধনের জন্য পক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয় যার সময়সীমা ২১ দিন।

    ৩।সমন জারী

    একটি মামলা দায়েরের পরের ধাপ সমন জারী। সমন দু'ভাবে জারী করা হয়। আদালতের জারীকারকের (পদাতিকের) মাধ্যমে এবং আদালতের সেরেস্তা কর্তৃক ডাকযোগে। সমনের সাথে মামলার আর্জি, বাদীর ফিরিস্তিযুক্ত কাগজের কপি (আর্জির বিষয়ের সাথে সংগতিপূর্ণ কাগজপত্র যা আর্জির দাবীকে সমর্থন করে), ওকালতনামা, তলবানা (বিবাদীর নামীয় সমন জারীর ক্ষেত্রে সরকারের দেয়া কোর্ট ফি) দাখিল করতে হয়।
    মামলার সমন বিবাদী সরাসরি গ্রহণ করলে তা সরাসরি জারী হিসেবে গণ্য হবে। আদালতের জারীকারক (পদাতিক) যখন বিবাদীর উপর সমন জারীর জন্য যাবে তখন সমন নোটিশের অপর পৃষ্ঠায় সংশ্লিষ্ট এলাকার দু'জন নিঃস্বার্থ ব্যক্তির স্বাক্ষর বা টিপ গ্রহণ করবেন।
    সাধারণত সমন বিবাদীর উপর ব্যক্তিগতভাবে জারী হতে হয়। তার অনুপস্তিতে তার পক্ষে তার ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধির উপর সমন জারী হতে হবে। যদি তার ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন প্রতিনিধি পাওয়া না যায়, তবে তার পরিবারের প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ সদস্যের উপর সমন জারী করতে হয়। এক্ষেত্রে ভৃত্য পরিবারের সদস্য হিসেবে গণ্য হবেন না। (দেওয়ানী কার্যবিধি, আদেশ-৫, বিধি-১২ ও ১৫)।
    বিবাদী বা তার পক্ষে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন প্রতিনিধি বা তার পরিবারের কোন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ পাওয়া না গেলে বা সমন গ্রহণ না করলে বিবাদীর বাস গৃহের বহির্দ্বারে বা অন্য কোন প্রকাশ্য স্থানে লটকিয়ে সমন জারী করতে হবে (দেওয়ানী কার্যবিধি, আদেশ-৫, বিধি -১৭)। এক্ষেত্রেও জারীকারক সমন নোটিশের অপর পৃষ্ঠায় সংশ্লিষ্ট এলাকার দু'জন নিঃস্বার্থ ব্যক্তির স্বাক্ষর বা টিপ গ্রহণ করবেন।
    বিবাদীর সাময়িক অনুপস্থিতিতে তার বাসগৃহের বহির্দ্বারের সামনে সমন লটকিয়ে জারী করা যুক্তিসংগত নয়। যদি ঐ বিবাদীকে তার বাসগৃহে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তবে পুণরায় তার বাড়ীতে সমন জারী করতে হয় (সি. আর. ও, ভলিউম-১, বিধি-৭৬)।
    জারীকারক সমন জারী রিটার্ণ ফেরত দিলে নাজির যথাসম্ভব দ্রুত এবং কমপক্ষে মামলার ধার্য্য তারিখের দু'দিন পূর্বে সংশ্লিষ্ট কোর্টে ফেরত দিবেন (সি. আর. ও, ভলিউম-১, বিধি-১০৫)।
    অপরদিকে ডাকযোগে প্রেরণের পর ডাকরশিদ (একনলেজমেন্ট ডিউ) থাকলে এক মাস অতিবাহিত হওয়ার পর এ. ডি (ডাক সমন) জারী হিসেবে গণ্য হবে।
    বিবাদী একের অধিক হলে প্রত্যেকের উপর সমন জারী হতে হবে। এছাড়া বিভিন্ন জেলার বিবাদীদের উপর সমন সংশ্লিষ্ট জেলার নেজারত বিভাগের মাধ্যমে প্ররণ করতে হবে।

    ৪।জবাব দাখিল

    বিবাদী মামলা ১ম শুনানীর তারিখ বা তৎপূর্বে বা আদালতের অনুমোদিত সময় দুই মাসের মধ্যে লিখিত জবাব দাখিল করবেন (দেওয়ানী কার্যবিধি, আদেশ -৮, বিধি-১)। তা না হলে মামলাটি একতরফা শুনানীর জন্য নির্ধারিত হবে। তবে দেওয়ানী কার্যবিধির ৮০ ধারার নোটিশ জারী না হলে সরকার জবাব দাখিলের জন্য ৩ মাস সময় পাবে।
    বিবাদী যদি তার দাবীর সমর্থনে কোন দলিলাদির উপর নির্ভর করে, তবে তা ফিরিস্তি সহকারে ঐ দলিলাদি দাখিল করবেন।
    ৫।প্রতিদ্বন্দ্বিতা বহির্ভূত শূনানী
    ১ ম শুনানীর তারিখে যদি দেখা যায় যে, মামলার পক্ষদের মধ্যে কোন বিরোধীয় বিষয় নেই তবে তা অবিলম্বে নিষ্পত্তি করতে হবে। এক্ষেত্রে মামলা মূলতবি করার কোন সুযোগ নেই।

    ৬।ইস্যু গঠন

    মামলার ১ম শুনানীর তারিখ বা জবাব দাখিলের মধ্যে যেটি পরে, তা হতে ১৫ দিনের মধ্যে ইস্যু গঠন করতে হবে(দেওয়ানী কার্যবিধি আদেশ-১৪, বিধি-১)। যেসব বিরোধীয় বিষয়ের উপর মামলা নিষ্পত্তি হবে সেসড বিষয় বস্ত নিয়ে ইস্যু গঠন করা হবে।

    ৭।উদঘাটন ও পরিদর্শন

    ইস্যু গঠনের ১০ দিনের মধ্যে বাদী বা বিবাদী আদালতের অনুমতি নিয়ে অপর পক্ষকে প্রশ্ন দাখিল করতে পারবেন। তবে একটি পক্ষকে একবারই লিখিত প্রশ্ন দাখিল করতে পারবেন (দেওয়ানী কার্যবিধি আদেশ-১১, বিধি-৮)

    ৮।৩০ ধারার তদ্বীর

    ইস্যু গঠনের পর উভয় পক্ষের কোন তদ্বীর আছে কিনা তার জন্য এই পর্যায়টি রাখা হয়।

    ৯।চূড়ান্ত শুনানীর তারিখ নির্ধারণ (এস. ডি)

    ইস্যু গঠনের ১২০ দিনের মধ্যে মামলার চূড়ান্ত শুনানীর দিন ধার্য করতে হয় (দেওয়ানী কার্যবিধি আদেশ-১৪, বিধি-৮)

    ১০।চূড়ান্ত শুনানী

    চূড়ান্ত শুনানীর (পি. এইচ) তারিখ হতে ১২০ দিনের মধ্যে মামলার শুনানী শেষ করতে হয় (দেওয়ানী কার্যবিধি আদেশ১৮, বিধি-১৯)। চূড়ান্ত শুনানী (পি. এইচ) ও পরবর্তী চূড়ান্ত শুনানী (এফ. পি. এইচ বা পার্ট হার্ড) পর্য্যায়ে বিচারক জবানবন্দী, জেরা, দলিলাদি গ্রহণ এবং যুক্তিতর্ক শুনবেন।

    ১১।রায় ঘোষণা

    মামলা শুনানী সমাপ্ত হওয়ার পরে অনধিক ৭ দিনের মধ্যে আদালত রায় ঘোষণা করবেন (দেওয়ানী কার্যবিধি আদেশ-২০, বিধি-১১)।

    ১২।ডিক্রি প্রদান

    রায় ঘোষণার তারিখ হতে ৭ দিনের মধ্যে ডিক্রি প্রদান করতে হবে (দেওয়ানী কার্যবিধি আদেশ-২০, বিধি -৫)
    তাছাড়া মামলার যেকোন পর্যায়ে পক্ষগণ আর্জি, জবাব সংশোধণ, অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা, স্থানীয় পরিদর্শন এবং স্থানীয় তদন্তের জন্য আদালতের দরখাস্ত প্রদান করতে পারবেন। মামলার জবাব দাখিলের পর প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী পক্ষগণ যে কোন সময় আপোষ নিষ্পত্তির জন্য আদালতের মধ্যস্ততায় বা আদালতের বাইরে বসতে পারেন। দেওয়ানী কার্যবিধির ৮৯(ক) ধারা অনুযায়ী আপোষ নিষ্পত্তির কথা বলা হয়েছে, যা এ. ডি. আর নামে পরিচিত।
  • গ্রাম আদালত আইন, ২০০৬

    গ্রাম আদালত আইন, ২০০৬

  • জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশ (সুরক্ষা প্রদান) আইন, ২০১১

    জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশ (সুরক্ষা প্রদান) আইন, ২০১১


     
     
     
    জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশ (সুরক্ষা প্রদান) আইন, ২০১১
    ( ২০১১ সনের ৭ নং আইন )
     [২২ জুন , ২০১১]
       
         জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশকারীকে আইনগত সুরক্ষা প্রদান এবং প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন ।
     
    যেহেতু জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশকারীকে আইনগত সুরক্ষা প্রদান এবং প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;

    সেহেতু এতদ্‌দ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-
      
     
    সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন 
    ১।(১) এই আইন জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশ (সুরক্ষা প্রদান) আইন, ২০১১ নামে অভিহিত হইবে।

    (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
      
      
     
    সংজ্ঞা 
    বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে-

    (১) ‘‘উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ’’ অর্থে কোন সংস্থার প্রধান বা উক্ত সংস্থার সহিত সংযুক্ত বা অধীনস্থ কোন অধিদপ্তর, পরিদপ্তর বা দপ্তরের বিভাগীয়, আঞ্চলিক, জেলা, উপজেলা বা ইউনিয়ন কার্যালয় এর প্রধান বা প্রধান নির্বাহী এবং নিম্নবর্ণিত ব্যক্তি বা পদধারীগণও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবেন, যথাঃ-

    (ক) সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিবর্গের ক্ষেত্রে, প্রেসিডেন্ট;

    (খ) সংসদ সদস্যের ক্ষেত্রে, স্পীকার;

    (গ) বিচার কর্ম বিভাগের কোন সদস্যের ক্ষেত্রে, সুপ্রীম কোর্ট এর রেজিস্ট্রার;

    (ঘ) দুর্নীতির সহিত সংশ্লিষ্ট হইলে, দুর্নীতি দমন কমিশন;

    (ঙ) সরকারি অর্থের সহিত সংশ্লিষ্ট হইলে, মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক; এবং

    (চ) অবৈধ বা অনৈতিক কার্যের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা;

    (২) ‘‘কর্মকর্তা’’ অর্থে কোন সংস্থায় নির্বাচিত, মনোনীত, চুক্তিভিত্তিক বা সার্বক্ষণিকভাবে নিযুক্ত আছেন বা ছিলেন এমন ব্যক্তিও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবেন;

    (৩) ‘‘জনস্বার্থ’’ অর্থ সরকার বা সরকারের নির্দেশে জনগণ বা জনগণের কিয়দংশের স্বার্থে বা কল্যাণে গৃহীত কর্ম;

    (৪) ‘‘জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তথ্য’’ বা ‘‘তথ্য’’ অর্থ কোন সংস্থার এইরূপ কোন তথ্য যাহাতে প্রকাশ পায় যে, কোন কর্মকর্তা-

    (ক) সরকারি অর্থের অনিয়মিত ও অননুমোদিত ব্যয়;

    (খ) সরকারি সম্পদের অব্যবস্থাপনা;

    (গ) সরকারি সম্পদ বা অর্থ আত্মসাৎ বা অপচয়;

    (ঘ) ক্ষমতার অপব্যবহার বা প্রশাসনিক ব্যর্থতা (মলড্মিনিস্ট্রটিওন্);

    (ঙ) ফৌজদারী অপরাধ বা বেআইনী বা অবৈধ কার্য সম্পাদন;

    (চ) জনস্বাস্থ্য, নিরাপত্তা বা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বা ঝুঁকিপূর্ণ কোন কার্যকলাপ; অথবা

    (ছ) দুর্নীতি-

    এর সহিত জড়িত ছিলেন, আছেন বা হইতে পারেন;

    [ব্যাখ্যা: এই দফায় ‘‘দুর্নীতি’’ বলিতে Penal Code, 1860 (Act No. XLV of 1860) এর section 161 এ 'gratification' যে অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে সেই অর্থে বুঝাইবে।]

    (৫) ‘‘তথ্য প্রকাশকারী’’ অর্থ যিনি উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশ করেন;

    (৬) ‘‘নির্ধারিত’’ অর্থ বিধি দ্বারা নির্ধারিত;

    (৭) ‘‘ফৌজদারী কার্যবিধি’’ অর্থ Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898);
    (৮) ‘‘সংস্থা’’ অর্থ -

    (ক) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী সৃষ্ট কোন সংস্থা;

    (খ) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৫(৬) অনুচ্ছেদের অধীন প্রণীত কার্যবিধিমালার (Rules of Business) অধীন গঠিত সরকারের কোন মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা কার্যালয়;
    (গ) কোন আইন বা অধ্যাদেশ দ্বারা বা উহার অধীন গঠিত কোন সংবিধিবদ্ধ সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান;

    (ঘ) সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত বা সরকারি তহবিল হইতে সাহায্যপুষ্ট কোন বেসরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান;

    (ঙ) বিদেশী সাহায্যপুষ্ট কোন বেসরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান;

    (চ) বেসরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান ;

    (ছ) সরকারের পক্ষে অথবা সরকার বা সরকারি কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের সহিত সম্পাদিত চুক্তি মোতাবেক সরকারি কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি, বেসরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান ; বা

    (জ) সরকার কর্তৃক, সময় সময়, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা নির্ধারিত অন্য কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে।
      
      
     
    আইনের প্রাধান্য 
    ৩।আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলী প্রাধান্য পাইবে।
      
      
     
    জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশ 
    ৪ । (১) কোন তথ্য প্রকাশকারী উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট, যুক্তিযুক্ত বিবেচনায়, জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট সঠিক তথ্য প্রকাশ করিতে পারিবেন।

    (২) কোন তথ্য প্রকাশকারী, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট সঠিক তথ্য প্রকাশ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে, যদি-

    (ক) যুক্তিসঙ্গত কারণে তিনি বিশ্বাস করেন যে তথ্যটি সত্য; বা

    (খ) তথ্যের সত্যতা সম্পর্কে বিশ্বাস করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ না থাকিলেও তিনি এইরুপ বিশ্বাস করেন যে, তথ্যটি সত্য হইতে পারে এবং তথ্যের গুরুত্ব বিবেচনা করিয়া উহার সত্যতা যাচাই করা সমীচীন।

    (৩) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোন তথ্য, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট, লিখিতভাবে সরাসরি হাতে হাতে, ডাকযোগে বা যে কোন ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে প্রকাশের উদ্দেশ্যে প্রেরণ করা যাইবে।

    (৪) প্রকাশিত প্রত্যেকটি তথ্য, প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয় এইরূপ সহায়ক দলিলাদি বা উপকরণ দ্বারা, যদি থাকে, সমর্থিত(supported) হইতে হইবে।
      
      
     
    তথ্য প্রকাশকারীর সুরক্ষা 
    ৫ । (১) কোন তথ্য প্রকাশকারী ধারা ৪ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোন সঠিক তথ্য প্রকাশ করিলে, উক্ত ব্যক্তির সম্মতি ব্যতীত, তাহার পরিচিতি প্রকাশ করা যাইবে না।

    (২) জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট সঠিক তথ্য প্রকাশের কারণে তথ্য প্রকাশকারীর বিরুদ্ধে কোন ফৌজদারী বা দেওয়ানী মামলা বা, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, কোন বিভাগীয় মামলা দায়ের করা যাইবে না।

    (৩) তথ্য প্রকাশকারী কোন চাকুরীজীবী হইলে শুধু জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশের কারণে তাহাকে পদাবনতি, হয়রানিমূলক বদলী বা বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান করা বা এমন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে না যাহা তাহার জন্য মানসিক, আর্থিক বা সামাজিক সুনামের জন্য ক্ষতিকর হয় বা তাহার বিরুদ্ধে অন্য কোন প্রকার বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও বৈষম্যমূলক আচরণ করা যাইবে না।

    (৪) উপ-ধারা (৬) এর বিধান সাপেক্ষে, ধারা ৪ এর অধীন প্রকাশিত তথ্য কোন দেওয়ানী বা ফৌজদারী মামলায় সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণ এবং তথ্য প্রকাশকারীকে কোন দেওয়ানী বা ফৌজদারী মামলায় সাক্ষী করা যাইবে না এবং মামলার কার্যক্রমে এমন কোন কিছু প্রকাশ করা যাইবে না যাহাতে উক্ত ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশিত হয় বা হইতে পারে।

    (৫) কোন দেওয়ানী বা ফৌজদারী মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণের অন্তর্ভুক্ত কোন বহি, দলিল বা কাগজপত্রে যদি এমন কিছু থাকে, যাহাতে তথ্য প্রকাশকারীর পরিচয় অন্তর্ভুক্ত থাকে, তাহা হইলে আদালত কোন ব্যক্তিকে, উক্ত বহি, দলিল বা কাগজপত্রের যে অংশে উক্তরুপ পরিচয় লিপিবদ্ধ থাকে সেই অংশ পরিদর্শনের অনুমতি প্রদান করিবে না।

    (৬) এই ধারায় অন্য যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন মামলার শুনানীকালে আদালতের নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, তথ্য প্রকাশকারী ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রকাশ করিয়াছেন অথবা তথ্য প্রকাশকারীর প্রকৃত পরিচয় প্রকাশ ব্যতীত উক্ত মামলায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব নয়, তাহা হইলে আদালত সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশকারীর পরিচয় প্রকাশ করিতে এবং মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে তাহার বিরুদ্ধে ধারা ১০ এর বিধান অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে। 
      
      
     
    তদন্ত ও আইনানুগ কার্যক্রম 
    ৬ । (১) কোন তথ্য প্রকাশকারী ধারা ৪ এর অধীন উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট কোন তথ্য প্রকাশ করিলে উক্ত কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্তের উদ্যোগ গ্রহণ করিবে অথবা বিষয়টি অন্য কোন উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের এখতিয়ারাধীন হইলে উহা সেই কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিবে।

    (২) উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট কোন জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশ করা হইলে বা, ক্ষেত্রমত, প্রেরণ করা হইলে উক্ত কর্তৃপক্ষ স্বয়ং বিষয়টি তদন্ত করিতে পারিবে অথবা অন্য কোন যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিষয়টি তদন্ত করাইতে পারিবে।

    (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন কোন বিষয় তদন্তকালে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বা, ক্ষেত্রমত, যথাযথ কর্তৃপক্ষ তথ্য প্রকাশকারীর নিকট হইতে, প্রয়োজনে, প্রাসঙ্গিক তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করিতে পারিবে।

    (৪) তদন্তকালে বা তদন্ত অনুষ্ঠানের পর যদি দেখা যায় যে,-

    (ক) প্রকৃত ঘটনা ও অভিযোগ তুচ্ছ প্রকৃতির, বিরক্তিকর এবং ভিত্তিহীন; অথবা

    (খ) তদন্ত ও আইনানুগ কার্যক্রম চালাইবার মত যথেষ্ট কোন কারণ ও উপাদান বিদ্যমান নাই-

    তাহা হইলে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ তৎক্ষণাৎ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গৃহীত কার্যক্রম বন্ধ করিবে, এবং বিষয়টি উপ-ধারা (২) এর বিধান অনুযায়ী অন্য কোন যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তদন্ত করা হইলে, উক্ত কর্তৃপক্ষ উহার প্রতিবেদন উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিবে এবং উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ তদনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবে।

    (৫) নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত অনুষ্ঠানের পর যদি দেখা যায় যে, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগটি সত্য ও সঠিক, তাহা হইলে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ তাহার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুসারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।

    (৬) এই ধারার অধীন কোন তদন্তের ক্ষেত্রে কোন তদন্তকারী কর্মকর্তা নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে উহার তদন্ত কার্যক্রম সমাপ্ত করিতে ব্যর্থ হইলে এবং নির্ধারিত সময়ের প্রয়োজন হইলে, তৎসম্পর্কে যুক্তিসঙ্গত কারণ উল্লেখপূর্বক বর্ধিত সময় মঞ্জুরের জন্য আবেদন না করিলে, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে।
      
      
     
    তদন্তের ক্ষেত্রে সহায়তা 
    ৭ । (১) কোন তথ্য প্রকাশকারী জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশ করিলে, তিনি, সংশ্লিষ্ট তথ্যের সত্যতা তদন্তের ক্ষেত্রে, পুলিশ বা অন্য যে কোন তদন্তকারী কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করিবেনঃ

    তবে শর্ত থাকে যে, কোন তথ্য প্রকাশকারীকে এইরুপ কোন তদন্তে সহায়তা করিতে বাধ্য করা যাইবে না, যাহার ফলে তাহার জীবন ও শারীরিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত হইতে পারে বা তিনি ভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হইতে পারেন।

    (২) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ, যথাযথ কর্তৃপক্ষ বা, ক্ষেত্রমত, তদন্তকারী কর্মকর্তা, তদন্তের ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা অন্য যে কোন সরকারি কর্তৃপক্ষ বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থার নিকট সহায়তার জন্য অনুরোধ করিতে পারিবেন এবং তদনুসারে উক্ত কর্তৃপক্ষ বা সংস্থা সহায়তা প্রদান করিবে।
      
      
     
    ফলাফল অবহিতকরণ 
    ৮। কোন তথ্য প্রকাশকারী কর্তৃক উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট যথাযথভাবে জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোন তথ্য প্রকাশ করা হইলে, তথ্য প্রকাশকারী অনুরোধ করিলে, সংশ্লিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইয়াছে তাহা তাহাকে, তাহার গোপনীয়তা অক্ষুন্ন রাখিয়া, অবহিত করিতে হইবে।
      
      
     
    ধারা ৫ এর বিধান লংঘনের দণ্ড 
    ৯। (১) কোন ব্যক্তি ধারা ৫ এর বিধান লংঘন করিলে তিনি এই আইনের অধীন অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত অপরাধের জন্য তিনি অন্যূন ২ (দুই) বৎসর বা অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ডে বা অর্থদণ্ডে বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

    (২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধী কোন সরকারি কর্মকর্তা হইলে, তাহার বিরুদ্ধে উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত দণ্ড ছাড়াও বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে।
      
      
     
    মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করিবার দণ্ড 
    ১০। (১) মিথ্যা জানিয়া বা তথ্যের সত্যতা সম্পর্কে সম্পূর্ণরুপে নিশ্চিত না হইয়া কোন তথ্য প্রকাশকারী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কোন ভিত্তিহীন তথ্য প্রকাশ করিলে, যাহা জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তথ্য নহে বা যে তথ্যের ভিত্তিতে এই আইনের অধীন তদন্ত বা বিচার কার্য পরিচালিত হইবার সম্ভাবনা থাকে, তিনি মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন।

    (২) কোন তথ্য প্রকাশকারী উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোন মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করিলে তিনি এই আইনের অধীন অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত অপরাধের জন্য তিনি অন্যূন ২ (দুই) বৎসর বা অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে বা অর্থদণ্ডে বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

    (৩) তথ্য প্রকাশকারী কোন সরকারি কর্মকর্তা হইলে এবং তিনি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোন মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করিলে তাহার বিরুদ্ধে উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত দণ্ড ছাড়াও বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে।
      
      
     
    ফৌজদারী কার্যবিধির প্রয়োগ 
    ১১। এই আইনে ভিন্নরূপ কিছু না থাকিলে, কোন অপরাধের অভিযোগ দায়ের, তদন্ত, বিচার ও নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898) এর বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে।
      
      
     
    অপরাধের আমলযোগ্যতা, অ-আপোষযোগ্যতা ও জামিনযোগ্যতা 
    ১২। এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ আমলযোগ্য(cognizable), অ-আপোষযোগ্য(non-compoundable) ও জামিনযোগ্য (bailable) হইবে।
      
      
     
    অর্থদণ্ডকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে রুপান্তর 
    ১৩। আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উপযুক্ত আদালত তদ্‌কর্তৃক ধারা ১০ এর অধীন আরোপিত অর্থদণ্ডকে, তথ্য প্রকাশকারীর দ্বারা ভিত্তিহীন বা মিথ্যা তথ্য প্রকাশের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির জন্য ক্ষতিপূরণ হিসাবে গণ্য করিতে পারিবে এবং অর্থদণ্ড বা ক্ষতিপূরণের অর্থ দণ্ডিত তথ্য প্রকাশকারীর নিকট হইতে আদায়যোগ্য হইবে।
      
      
     
    পুরস্কার বা সম্মাননা প্রদান, ইত্যাদি 
    ১৪। কোন তথ্য প্রকাশকারীর তথ্যের ভিত্তিতে এই আইনের অধীন আনীত অভিযোগ বা অপরাধ আদালত কর্তৃক প্রমাণিত হইলে, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ, সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশকারীকে যথাযথ পুরস্কার বা সম্মাননা প্রদান করিতে পারিবে।
      
      
     
    বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা 
    ১৫। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
      
      
     
    ইংরেজীতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ 
    ১৬। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, প্রয়োজনবোধে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজীতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিতে পারিবে।
    (২) এই আইনের বাংলা ও ইংরেজী পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।
      
  • Find Us on Facebook

    Hello! Welcome TO Legal Help BD

    WHAT WE DO

    We've been developing corporate tailored services for clients for 30 years.

    CONTACT US

    For enquiries you can contact us in several different ways. Contact details are below.

    Legal Help BD

    • Street :Road Street 00
    • Person :Person
    • Phone :+045 123 755 755
    • Country :POLAND
    • Email :contact@heaven.com

    Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipisicing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua.

    Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipisicing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation.