জনগণের জানমাল ও সম্পদের হেফাজতকারী পুলিশ। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে রক্ষক ভক্ষক হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত বছর বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের সাথে জড়িত থাকার জন্য প্রায় ১০ হাজার পুলিশ সদস্যকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়েছে।
তাই পুলিশি নির্যাতনের হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে বা পুলিশি হয়রানির পর করণীয় সম্পর্কে জেনে নিন।
‘নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩’ অনুসারে ঘটনা সংশ্লিষ্ট যে কেউ অভিযোগ দাখিল করতে পারবেন। এই আইনের অধীনে ‘অভিযোগকারী’ হতে পারেন অভিযোগ উত্থাপনকারী বা ভুক্তভোগী উভয়ে।
‘ক্ষতিগ্রস্ত অথবা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি’ অর্থ ওই ব্যক্তি যাকে এই আইনের অধীনে তার উপর অথবা তার সংশ্লিষ্ট বা উদ্বিগ্ন এমন কারো উপর নির্যাতন করা হয়েছে।
এছাড়াও কোনো ব্যক্তিকে অন্য কোনো ব্যক্তি নির্যাতন করেছে বা করছে এরকম কোনো তথ্য তৃতীয় কোনো ব্যক্তি আদালতকে অবহিত করলে আদালত অভিযোগকারীর বিবৃতির ওপর নিজের মন্তব্য লিপিবদ্ধ করে উক্ত ব্যক্তির নিরাপত্তা বিধান করবেন।
আইনত যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা যাবে: আইন অনুসারে ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থা’ অর্থ পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, কাস্টমস, ইমিগ্রেশন, অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বিশেষ শাখা, গোয়েন্দা শাখা, আনসার ভিডিপি ও কোস্টগার্ডসহ দেশে আইন প্রয়োগ ও বলবৎকারী সরকারি কোনো সংস্থা অর্থাৎ ‘সশস্ত্র বাহিনী’ (সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী অথবা অপর কোনো রাষ্ট্রীয় ইউনিট) যা বাংলাদেশ প্রতিরক্ষার জন্য গঠিত।
কার কাছে অভিযোগ দাখিল করবেন: ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা তার পক্ষে তৃতীয় কোনো ব্যক্তি দায়রা জজ আদালতে অথবা পুলিশ সুপারের নিচে পদস্থ নয় এমন কোনো পুলিশ কর্মকর্তার কাছে নির্যাতনের অভিযোগ দাখিল করতে পারবেন। অভিযোগ দাখিলের পর পুলিশ সুপার অথবা তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অভিযোগ দায়েরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দায়রা জজ আদালতে একটি রিপোর্ট পেশ করবেন। অভিযোগ দাখিলের পর থেকে ১৮০ দিনের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করতে হবে। অন্যথায় উপযুক্ত কারণ দেখা দিয়ে অতিরিক্ত আরো ৩০ দিনের মধ্যে অবশ্যই মামলা শেষ করার বিধান রয়েছে।
নির্যাতনের বিবরণ: জোরপূর্বক ঘটনার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা অপর কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে তথ্য অথবা স্বীকারোক্তি আদায়ে কোনো ব্যক্তি অথবা তার মাধ্যমে অপর কোনো ব্যক্তিকে ভয়ভীতি দেখানো, বৈষম্যের ভিত্তিতে কারো প্ররোচনা বা উস্কানি, কারো সম্মতিক্রমে অথবা নিজ ক্ষমতাবলে কোনো সরকারি কর্মকর্তা অথবা সরকারি ক্ষমতাবলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনকারী ব্যক্তির এসকল কাজকে ‘নির্যাতন’ হিসেবে গণ্য করা হবে।
‘হেফাজতে মৃত্যু’ বলতে আইনে যা বুঝায়: ‘হেফাজতে মৃত্যু’ বলতে সরকারি কোনো কর্মকর্তার হেফাজতে কোনো ব্যক্তির মৃত্যু; এছাড়াও হেফাজতে মৃত্যু বলতে অবৈধ আটকাদেশ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কর্তৃক গ্রেপ্তারকালে কোনো ব্যক্তির মৃত্যুকেও বুঝাবে; কোনো মামলায় সাক্ষী হোক বা না হোক জিজ্ঞাসাবাদকালে মৃত্যুও হেফাজতে মৃত্যুর অন্তর্ভুক্ত হবে।
অভিযোগ দাখিলের পর আদালতের করণীয়: নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩-এর এখতিয়ারাধীন কোনো আদালতের সামনে কোনো ব্যক্তি যদি অভিযোগ করে যে, তাকে নির্যাতন করা হয়েছে, তাহলে উক্ত আদালত তাৎক্ষণিকভাবে ওই ব্যক্তির বিবৃতি লিপিবদ্ধ করবেন; একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসক দ্বারা অবিলম্বে তার দেহ পরীক্ষার আদেশ দেবেন; অভিযোগকারী মহিলা হলে রেজিস্টার্ড মহিলা চিকিৎসক দ্বারা পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করবেন।
পুলিশি নির্যাতন হলে কি করবেন??
------------------------------
------------------------------
জনগণের জানমাল ও সম্পদের হেফাজতকারী পুলিশ। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে রক্ষক ভক্ষক হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত বছর বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের সাথে জড়িত থাকার জন্য প্রায় ১০ হাজার পুলিশ সদস্যকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়েছে।
তাই পুলিশি নির্যাতনের হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে বা পুলিশি হয়রানির পর করণীয় সম্পর্কে জেনে নিন।
‘নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩’ অনুসারে ঘটনা সংশ্লিষ্ট যে কেউ অভিযোগ দাখিল করতে পারবেন। এই আইনের অধীনে ‘অভিযোগকারী’ হতে পারেন অভিযোগ উত্থাপনকারী বা ভুক্তভোগী উভয়ে।
‘ক্ষতিগ্রস্ত অথবা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি’ অর্থ ওই ব্যক্তি যাকে এই আইনের অধীনে তার উপর অথবা তার সংশ্লিষ্ট বা উদ্বিগ্ন এমন কারো উপর নির্যাতন করা হয়েছে।
এছাড়াও কোনো ব্যক্তিকে অন্য কোনো ব্যক্তি নির্যাতন করেছে বা করছে এরকম কোনো তথ্য তৃতীয় কোনো ব্যক্তি আদালতকে অবহিত করলে আদালত অভিযোগকারীর বিবৃতির ওপর নিজের মন্তব্য লিপিবদ্ধ করে উক্ত ব্যক্তির নিরাপত্তা বিধান করবেন।
আইনত যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা যাবে: আইন অনুসারে ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থা’ অর্থ পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, কাস্টমস, ইমিগ্রেশন, অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বিশেষ শাখা, গোয়েন্দা শাখা, আনসার ভিডিপি ও কোস্টগার্ডসহ দেশে আইন প্রয়োগ ও বলবৎকারী সরকারি কোনো সংস্থা অর্থাৎ ‘সশস্ত্র বাহিনী’ (সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী অথবা অপর কোনো রাষ্ট্রীয় ইউনিট) যা বাংলাদেশ প্রতিরক্ষার জন্য গঠিত।
কার কাছে অভিযোগ দাখিল করবেন: ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা তার পক্ষে তৃতীয় কোনো ব্যক্তি দায়রা জজ আদালতে অথবা পুলিশ সুপারের নিচে পদস্থ নয় এমন কোনো পুলিশ কর্মকর্তার কাছে নির্যাতনের অভিযোগ দাখিল করতে পারবেন। অভিযোগ দাখিলের পর পুলিশ সুপার অথবা তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অভিযোগ দায়েরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দায়রা জজ আদালতে একটি রিপোর্ট পেশ করবেন। অভিযোগ দাখিলের পর থেকে ১৮০ দিনের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করতে হবে। অন্যথায় উপযুক্ত কারণ দেখা দিয়ে অতিরিক্ত আরো ৩০ দিনের মধ্যে অবশ্যই মামলা শেষ করার বিধান রয়েছে।
নির্যাতনের বিবরণ: জোরপূর্বক ঘটনার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা অপর কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে তথ্য অথবা স্বীকারোক্তি আদায়ে কোনো ব্যক্তি অথবা তার মাধ্যমে অপর কোনো ব্যক্তিকে ভয়ভীতি দেখানো, বৈষম্যের ভিত্তিতে কারো প্ররোচনা বা উস্কানি, কারো সম্মতিক্রমে অথবা নিজ ক্ষমতাবলে কোনো সরকারি কর্মকর্তা অথবা সরকারি ক্ষমতাবলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনকারী ব্যক্তির এসকল কাজকে ‘নির্যাতন’ হিসেবে গণ্য করা হবে।
‘হেফাজতে মৃত্যু’ বলতে আইনে যা বুঝায়: ‘হেফাজতে মৃত্যু’ বলতে সরকারি কোনো কর্মকর্তার হেফাজতে কোনো ব্যক্তির মৃত্যু; এছাড়াও হেফাজতে মৃত্যু বলতে অবৈধ আটকাদেশ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কর্তৃক গ্রেপ্তারকালে কোনো ব্যক্তির মৃত্যুকেও বুঝাবে; কোনো মামলায় সাক্ষী হোক বা না হোক জিজ্ঞাসাবাদকালে মৃত্যুও হেফাজতে মৃত্যুর অন্তর্ভুক্ত হবে।
অভিযোগ দাখিলের পর আদালতের করণীয়: নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩-এর এখতিয়ারাধীন কোনো আদালতের সামনে কোনো ব্যক্তি যদি অভিযোগ করে যে, তাকে নির্যাতন করা হয়েছে, তাহলে উক্ত আদালত তাৎক্ষণিকভাবে ওই ব্যক্তির বিবৃতি লিপিবদ্ধ করবেন; একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসক দ্বারা অবিলম্বে তার দেহ পরীক্ষার আদেশ দেবেন; অভিযোগকারী মহিলা হলে রেজিস্টার্ড মহিলা চিকিৎসক দ্বারা পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করবেন।
ব্যারিস্টার কিভাবে হবেন ?
ব্যারিস্টার অ্যাট ল-র সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে বার অ্যাট ল। একজন ব্যারিস্টার হিসেবে স্বীকৃত হওয়ার জন্য ৯ মাসের একটি বার প্রফেশনাল ট্রেনিং কোর্স (বিপিটিসি) করতে হয়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের আইনজীবীদের বলা হয় অ্যাডভোকেট। আমেরিকাতে আইনজীবীকে বলা হয় অ্যাটর্নি। তেমনি করে অস্ট্রেলিয়ার আইনজীবীকে বলা হয় ব্যারিস্টার। এভাবে বিভিন্ন দেশে আইনজীবীকে বিভিন্ন নামে অভিহিত করা হয়।যুক্তরাজ্যে আইনজীবীদের ব্যারিস্টার এবং সলিসিটার দুই ধরনের শ্রেণী বিভাগ করা হয়।
১. যোগ্যতাঃ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রভৃতি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনের ওপর অনার্স ও মাস্টার্স করেও কেউ সরাসরি ইংল্যান্ডে প্রফেশনাল ট্রেনিং কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন না। অর্থাৎ ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয় এবং তাদের অধিভুক্ত কিছু প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেউ যদি অনার্স পাস করে তবে তাকে বার প্রফেশনাল ট্রেনিং কোর্সে ভর্তি হতে হলে আবার নতুন করে কোনো ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয় বা স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে এলএলবি পাস করতে হবে কেননা আমাদের দেশীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে প্রাপ্ত এলএলবি কে QLD (Qualifying Law Degree) ধরা হয় না । আমাদের দেশীয় বিশ্ববিদ্যালয় পঠিত এলএলবি কারিকুলামে QLD এর জন্য প্রয়োজনীয় সব গুলো মৌলিক বিষয় অন্তরভুক্ত নয় (যেমন ইউরোপিয়ান ল ) বার প্রফশেনাল ট্রেনিং র্কোসে র্ভতি হতে হলে QLD থাকা আবশ্যক । এ রকম QLD এলএলবি কোর্সে এ ভর্তির জন্য নূন্যতম যোগ্যতা হিসাবে এক জন শিক্ষার্থী কে উচ্চ মাধ্যামিক অথবা সমমানের এ লেভেল পরীক্ষায় উত্তীর্ন হতে হবে । তবে এক্ষেত্রে মার্স্টাস ডিগ্রিধারিরা একটা বিশেষ সুবিধা পান, তা হলো – তাদের অনার্সের মোট বিষয়রে মধ্যে কয়েকটি বিষয় অব্যাহিত দেয়া হয় ।
ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয় হতে প্রাপ্ত এলএলবি ডিগ্রী বাংলাদেশে ব্যবহার এর জন্য বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় মজ্ঞুরী কমিশন থেকে সমতা বিধান করিয়ে নিতে হয় ।
এ কোর্সে প্রতিবছরই পাঁচ হাজারের মতো আবেদন জমা পড়ে। শিক্ষাগত যোগ্যতা, ব্যক্তিগত দক্ষতা, ভাষার দখল, সাংগঠনিক দক্ষতা এসব বিষয় বিবেচনায় এনে আবেদনকারীদের মধ্য থেকে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করা হয়। সম্প্রতি আইইএলটিএস স্কোরও দেখা হচ্ছে। আবেদনের ক্ষেত্রে স্কোর ৭.৫ বাধ্যতামূলক হলেও অনেক ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রভৃতি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনের ওপর অনার্স ও মাস্টার্স করেও কেউ সরাসরি ইংল্যান্ডে প্রফেশনাল ট্রেনিং কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন না। অর্থাৎ ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয় এবং তাদের অধিভুক্ত কিছু প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেউ যদি অনার্স পাস করে তবে তাকে বার প্রফেশনাল ট্রেনিং কোর্সে ভর্তি হতে হলে আবার নতুন করে কোনো ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয় বা স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে এলএলবি পাস করতে হবে কেননা আমাদের দেশীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে প্রাপ্ত এলএলবি কে QLD (Qualifying Law Degree) ধরা হয় না । আমাদের দেশীয় বিশ্ববিদ্যালয় পঠিত এলএলবি কারিকুলামে QLD এর জন্য প্রয়োজনীয় সব গুলো মৌলিক বিষয় অন্তরভুক্ত নয় (যেমন ইউরোপিয়ান ল ) বার প্রফশেনাল ট্রেনিং র্কোসে র্ভতি হতে হলে QLD থাকা আবশ্যক । এ রকম QLD এলএলবি কোর্সে এ ভর্তির জন্য নূন্যতম যোগ্যতা হিসাবে এক জন শিক্ষার্থী কে উচ্চ মাধ্যামিক অথবা সমমানের এ লেভেল পরীক্ষায় উত্তীর্ন হতে হবে । তবে এক্ষেত্রে মার্স্টাস ডিগ্রিধারিরা একটা বিশেষ সুবিধা পান, তা হলো – তাদের অনার্সের মোট বিষয়রে মধ্যে কয়েকটি বিষয় অব্যাহিত দেয়া হয় ।
ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয় হতে প্রাপ্ত এলএলবি ডিগ্রী বাংলাদেশে ব্যবহার এর জন্য বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় মজ্ঞুরী কমিশন থেকে সমতা বিধান করিয়ে নিতে হয় ।
এ কোর্সে প্রতিবছরই পাঁচ হাজারের মতো আবেদন জমা পড়ে। শিক্ষাগত যোগ্যতা, ব্যক্তিগত দক্ষতা, ভাষার দখল, সাংগঠনিক দক্ষতা এসব বিষয় বিবেচনায় এনে আবেদনকারীদের মধ্য থেকে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করা হয়। সম্প্রতি আইইএলটিএস স্কোরও দেখা হচ্ছে। আবেদনের ক্ষেত্রে স্কোর ৭.৫ বাধ্যতামূলক হলেও অনেক ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়।
২. দেশে বসেই ইংল্যান্ডের ডিগ্রিঃ
আমাদের দেশে ব্রিটিশ স্কুল অব ল, লন্ডন কলেজ অব লিগ্যাল স্টাডিজ, ভূঁইয়া একাডেমী,নটিংহ্যাম ল একাডেমী, ডি সি এল ই,ক্যামব্রিজ বিজনেস অ্যান্ড ল একাডেমী এই পাঁচটি টিউশন সার্ভিস প্রোভাইডার বার অ্যাট ল পড়ালেখার বিষয়ে সহযোগিতা করে থাকে।
এইচএসসি বা সমমানের ডিগ্রিধারী যে কেউ ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয় স্বীকৃত তিন-চার বছর মেয়াদি এলএলবি অনার্স কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে এসএসসি ও এইচএসসি মিলে জিপিএ-৫ থাকতে হবে। ভর্তির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো বয়সসীমা নেই। শিক্ষার্থীরা ইংল্যান্ডের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে ও একই সময়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে থাকেন। পরীক্ষা নেওয়া হয় ব্রিটিশ কাউন্সিলের মাধ্যমে। ইংল্যান্ডেই এসব উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হয়। এভাবে দেশে বসেই ইংল্যান্ডের ডিগ্রি পেতে পারেন। এলএলবি করার পর ইংল্যান্ডে সরাসরি বার ভোকেশনাল কোর্সে ভর্তি হওয়া যাবে।
ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন, বিপিপি ইউনিভার্সিটি এবং ইউনিভার্সিটি অব নর্দামব্রিয়া দূরশিক্ষণ পদ্ধতিতে ব্রিটিশ ডিগ্রি নেওয়ার সুযোগ দেয়। তবে দেশে বসে ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয় বা স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে আইন বিষয়ে অনার্স করা গেলেও নয় মাসের বার প্রফেশনাল ট্রেনিং কোর্সের জন্য ইংল্যান্ডে যেতেই হবে।
আমাদের দেশে ব্রিটিশ স্কুল অব ল, লন্ডন কলেজ অব লিগ্যাল স্টাডিজ, ভূঁইয়া একাডেমী,নটিংহ্যাম ল একাডেমী, ডি সি এল ই,ক্যামব্রিজ বিজনেস অ্যান্ড ল একাডেমী এই পাঁচটি টিউশন সার্ভিস প্রোভাইডার বার অ্যাট ল পড়ালেখার বিষয়ে সহযোগিতা করে থাকে।
এইচএসসি বা সমমানের ডিগ্রিধারী যে কেউ ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয় স্বীকৃত তিন-চার বছর মেয়াদি এলএলবি অনার্স কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে এসএসসি ও এইচএসসি মিলে জিপিএ-৫ থাকতে হবে। ভর্তির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো বয়সসীমা নেই। শিক্ষার্থীরা ইংল্যান্ডের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে ও একই সময়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে থাকেন। পরীক্ষা নেওয়া হয় ব্রিটিশ কাউন্সিলের মাধ্যমে। ইংল্যান্ডেই এসব উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হয়। এভাবে দেশে বসেই ইংল্যান্ডের ডিগ্রি পেতে পারেন। এলএলবি করার পর ইংল্যান্ডে সরাসরি বার ভোকেশনাল কোর্সে ভর্তি হওয়া যাবে।
ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন, বিপিপি ইউনিভার্সিটি এবং ইউনিভার্সিটি অব নর্দামব্রিয়া দূরশিক্ষণ পদ্ধতিতে ব্রিটিশ ডিগ্রি নেওয়ার সুযোগ দেয়। তবে দেশে বসে ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয় বা স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে আইন বিষয়ে অনার্স করা গেলেও নয় মাসের বার প্রফেশনাল ট্রেনিং কোর্সের জন্য ইংল্যান্ডে যেতেই হবে।
৩. কোথায় পড়বেন?
বার অ্যাট ল এর সনদ ইংল্যান্ডের চারটি ইন’স-এর যেকোনো একটি থেকে করতে হয়। অর্থাৎ লিন্কনস্ ইন, গ্রেইস ইন, ইনার টেম্পল ও মিডল টেম্পল এই চারটি ইন’স এর মধ্যে যেকোনো একটি আপনাকে বেছে নিতে হবে।
সনদ ইন থেকে দেওয়া হলেও কোনো একটি ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পড়াশোনা করতে হয়। সিটি ল স্কুল, ইউনিভার্সিটি অব ল, বিপিপিইউনিভার্সিটি, নটিংহ্যামইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্ট ইংল্যান্ড, নর্দামব্রিয়া ইউনিভার্সিটি, কার্ডিফ ইউনিভার্সিটি, ম্যানচেস্টার মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি এই ৯টি প্রতিষ্ঠানে বিপিটিসি করা যায়। এর যেকোনো একটিতে পড়তে পারেন। সাধারণত সেপ্টেম্বরে বার অ্যাট ল কোর্সে ভর্তি করা হয়।
বার অ্যাট ল এর সনদ ইংল্যান্ডের চারটি ইন’স-এর যেকোনো একটি থেকে করতে হয়। অর্থাৎ লিন্কনস্ ইন, গ্রেইস ইন, ইনার টেম্পল ও মিডল টেম্পল এই চারটি ইন’স এর মধ্যে যেকোনো একটি আপনাকে বেছে নিতে হবে।
সনদ ইন থেকে দেওয়া হলেও কোনো একটি ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পড়াশোনা করতে হয়। সিটি ল স্কুল, ইউনিভার্সিটি অব ল, বিপিপিইউনিভার্সিটি, নটিংহ্যামইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্ট ইংল্যান্ড, নর্দামব্রিয়া ইউনিভার্সিটি, কার্ডিফ ইউনিভার্সিটি, ম্যানচেস্টার মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি এই ৯টি প্রতিষ্ঠানে বিপিটিসি করা যায়। এর যেকোনো একটিতে পড়তে পারেন। সাধারণত সেপ্টেম্বরে বার অ্যাট ল কোর্সে ভর্তি করা হয়।
৪. ব্যয়ঃ
ব্যারিস্টারি পড়া বেশ ব্যয়বহুল। প্রতিবছরই এ খরচ বাড়ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানভেদে টিউশন ফি কিছুটা কম-বেশি হয়ে থাকে। ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি (অনার্স) ডিগ্রিটা যদি দেশে বসে নিতে চান, তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি ও বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের টিউশন ফি বাবদ কমপক্ষে ১১ থেকে ১৩ লাখ টাকা লাগবে। ইংল্যান্ডে গিয়ে নিতে চাইলে শুধু টিউশন ফি বাবদ লাগবে ৩৬ থেকে ৪৪ লাখ।
বার ভোকেশনাল কোর্সের বর্তমান টিউশন ফি ১২৫০০ থেকে ১৭৫০০ পাউন্ড। বাংলাদেশি টাকায় এ ফি ১৬ থেকে ২৪ লাখ টাকা। বার অ্যাট ল কোর্সটির মেয়াদ ৯ মাস হলেও এটি শেষ করতে এক বছর লেগে যায়। তাই এর টিউশন ফির সঙ্গে এক বছরের থাকা-খাওয়ার খরচ হিসাব করতে হবে। এ খরচ সাধারণত ৫ থেকে ৭ হাজার পাউন্ড হয়ে থাকে যদিও তা অনেকাংশে নির্ভর করে জীবনযাত্রার ওপর। এই এক বছরে থাকা-খাওয়া বাবদ ৬ থেকে ৮ লাখ টাকা গুনতে হবে আনুমানিক।
ব্যারিস্টারি পড়া বেশ ব্যয়বহুল। প্রতিবছরই এ খরচ বাড়ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানভেদে টিউশন ফি কিছুটা কম-বেশি হয়ে থাকে। ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি (অনার্স) ডিগ্রিটা যদি দেশে বসে নিতে চান, তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি ও বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের টিউশন ফি বাবদ কমপক্ষে ১১ থেকে ১৩ লাখ টাকা লাগবে। ইংল্যান্ডে গিয়ে নিতে চাইলে শুধু টিউশন ফি বাবদ লাগবে ৩৬ থেকে ৪৪ লাখ।
বার ভোকেশনাল কোর্সের বর্তমান টিউশন ফি ১২৫০০ থেকে ১৭৫০০ পাউন্ড। বাংলাদেশি টাকায় এ ফি ১৬ থেকে ২৪ লাখ টাকা। বার অ্যাট ল কোর্সটির মেয়াদ ৯ মাস হলেও এটি শেষ করতে এক বছর লেগে যায়। তাই এর টিউশন ফির সঙ্গে এক বছরের থাকা-খাওয়ার খরচ হিসাব করতে হবে। এ খরচ সাধারণত ৫ থেকে ৭ হাজার পাউন্ড হয়ে থাকে যদিও তা অনেকাংশে নির্ভর করে জীবনযাত্রার ওপর। এই এক বছরে থাকা-খাওয়া বাবদ ৬ থেকে ৮ লাখ টাকা গুনতে হবে আনুমানিক।
৫. খণ্ডকালীন কাজের সুযোগঃ
ইংল্যান্ডে যাঁরা পড়তে যান, পড়াশোনার পাশাপাশি তাঁদের খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ রয়েছে। দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্রছাত্রীরা নতুন নিয়মে সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করতে পারেন। যদিও এ সময় পড়ার চাপে খণ্ডকালীন কাজ করা যায় না। বার অ্যাট ল করার সময় প্রচুর পড়াশোনা করতে হয়। তাই সুযোগ থাকলেও খণ্ডকালীন কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ে।
ইংল্যান্ডে যাঁরা পড়তে যান, পড়াশোনার পাশাপাশি তাঁদের খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ রয়েছে। দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্রছাত্রীরা নতুন নিয়মে সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করতে পারেন। যদিও এ সময় পড়ার চাপে খণ্ডকালীন কাজ করা যায় না। বার অ্যাট ল করার সময় প্রচুর পড়াশোনা করতে হয়। তাই সুযোগ থাকলেও খণ্ডকালীন কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ে।
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, কেউ যদি ব্যারিস্টার হয়েবাংলাদেশে আইন পেশায় নিয়োজিত হতে চায় সেক্ষেত্রে তাকে বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় পাশ করে সনদ নিতে হবে। এর আগে ব্যারিস্টার হওয়ার পরে সরাসরি বাংলাদেশে আইন পেশায় নিয়োজিত হওয়ার সুযোগ ছিলো |
সাংবাদিকদের আয়কর মালিককেই দিতে হবে: সুপ্রিমকোর্ট
সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার কর্মীদের আয়কর নিয়ে চতুর্থ ওয়েজ বোর্ডের সিদ্ধান্তই বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ।
এর ফলে সাংবাদিক, প্রাশাসনিক কর্মচারী ও প্রেস শ্রমিকদের বেতনের (ওয়েজ) ওপর আরোপিত আয়কর সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার মালিক কর্তৃপক্ষকেই পরিশোধ করতে হবে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাশেদ জাহাঙ্গীর শুভ্র।
বুধবার (৩০ মার্চ) এ সংক্রান্ত আপিল শুনানি শেষে আপিল বিভাগের সিনিয়র বিচারপতি আবদুল ওয়াহাব মিঞার নেতৃত্বে চার সদস্যেল আপিল বেঞ্চ-২ এই রায় দেন। বেঞ্চের অন্যান্য বিচারপতিরা হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি ইমান আলী ও বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম।
২৫ বছর আগে চতুর্থ সংবাদপত্র কর্মচারী বেতন বোর্ডের দেওয়া আয়কর সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত হাই কোর্ট অবৈধ ঘোষণা করেছিল। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল মঞ্জুর করে বুধবার রায় দেয় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, চতুর্থ সংবাদপত্র কর্মচারী বেতন রোয়েদাদ ঘোষণা করা হয় ১৯৯১ সালের ৯ মার্চ। এর সপ্তম অধ্যায়ে প্রান্তিক সুযোগ-সুবিধা ও আয়কর (ইনকাম ট্যাক্স) অংশে বলা হয়, সকল ক্যাটাগরির সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থায় কর্মরত সকল সাংবাদিক, প্রাশাসনিক কর্মচারী এবং প্রেস শ্রমিকদের বেতনের (ওয়েজ) উপর আরোপিত আয়কর আগের মতো সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার কর্তৃপক্ষকেই দিতে হবে।
এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সংবাদ লিমিটেড, ইনকিবাল এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড পাবলিকেশন্স লিমিটেড, খবর গ্রুপ অব পাবলিকেশন্স লিমিটেড, আজাদ পাবলিকেশন্স লিমিটেড ও ইত্তেফাক গ্রুপ অব পাবলিকেশন্স লিমিটেডের মালিক-কর্তৃপক্ষ ওই বছরই রিট আবেদন করে।
প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাই কোর্ট রুল দেয়। রুলে সংবাদপত্র-সংবাদ সংস্থার কর্মীর আরোপিত আয়কর কর্তৃপক্ষের পরিশোধ করার বিধান কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়।
রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ১৯৯৭ সালের ১৪ অগাস্ট হাই কোর্ট রুল যথাযথ (অ্যাবসলিউট) ঘোষণা করে রায় দেয়।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন (লিভ টু আপিল) করে, যা ২০০৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি মঞ্জুর হয়। পরে ওই বছরই রাষ্ট্রপক্ষ নিয়মিত আপিল করে, যা বুধবার শুনানির জন্য ওঠে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাশেদ জাহাঙ্গীর শুভ্র। তবে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।
পরে শুভ্র বলেন, “হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল মঞ্জুর করে রায় দিয়েছে আপিল বিভাগ। হাই কোর্টের ওই রায়ের ওই অংশ বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।”
বর্তমানে চালু থাকা অষ্টম বেতন রোয়েদাদে আয়কর (ইনকাম ট্যাক্স) প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ধারাবাহিকতার আলোকে অষ্টম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ডের রোয়েদাদেও আয়কর দেওয়ার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষের ওপর ন্যস্ত করা যুক্তিসঙ্গত
জানেন, মৃত্যুদণ্ড দেয়ার পরে বিচারকরা কলমের নিব ভেঙে ফেলেন কেন ?
এ কথাটি হয়তো অনেকেরই অজানা, মৃত্যুদণ্ড দেয়ার পরে বিচারক বা বিচারপতিরা কলমের নিব ভেঙে ফেলেন ! এমন কথা শুনে হয়তো অনেকেই চমকে উঠতে পারেন। কিন্তু না, সেই ব্রিটিশ আমল থেকেই এই রেওয়াজ চলে আসছে। আজকের দিন পর্যন্ত এটি চলছেই। তবে প্রশ্ন হলো কেন?
আর উত্তর, কারণ একটি নয়, একাধিক। প্রথমত, এটি একটি প্রতীকী বিষয়। ব্যাখ্যা হল, যে কলম একজনের জীবন নিয়ে নিয়েছে, তা যেন আর কারো জীবন নিতে না-পারে।
দ্বিতীয় ব্যাখ্যাটি এর সঙ্গেই সম্পৃক্ত। বলা হয়, বিচারক বা বিচারপতি ওই মৃত্যুদণ্ড এবং তা থেকে প্রসূত অপরাধবোধ থেকে নিজেদের দূরে রাখতে চান। সে কারণেই নিবটি ভেঙে ফেলেন। একজন বিচারক বা বিচারপতি তার দেয়া মৃত্যুদণ্ড ফিরিয়ে নিতে পারেন না।
তৃতীয় ব্যাখ্যা হিসেবে বলা হয়, তিনি যাতে কোনোভাবেই মৃত্যুদণ্ড ফিরিয়ে নেয়ার কথা ভাবতে না পারেন।
শেষ ব্যাখ্যা, সব মৃত্যুই দুঃখের। কিন্তু কখনো মৃত্যুদণ্ডের মতো চরম শাস্তির প্রয়োজন হয়ে পড়ে। তাই কলমের নিব ভেঙে ফেলা হয় এটা বোঝাতে যে, মৃত্যুদণ্ড দুঃখজনক ব্যাপার। সুত্রঃ ইন্টারনেট
Find Us on Facebook
Hello! Welcome TO Legal Help BD