সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার কর্মীদের আয়কর নিয়ে চতুর্থ ওয়েজ বোর্ডের সিদ্ধান্তই বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ।
এর ফলে সাংবাদিক, প্রাশাসনিক কর্মচারী ও প্রেস শ্রমিকদের বেতনের (ওয়েজ) ওপর আরোপিত আয়কর সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার মালিক কর্তৃপক্ষকেই পরিশোধ করতে হবে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাশেদ জাহাঙ্গীর শুভ্র।
বুধবার (৩০ মার্চ) এ সংক্রান্ত আপিল শুনানি শেষে আপিল বিভাগের সিনিয়র বিচারপতি আবদুল ওয়াহাব মিঞার নেতৃত্বে চার সদস্যেল আপিল বেঞ্চ-২ এই রায় দেন। বেঞ্চের অন্যান্য বিচারপতিরা হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি ইমান আলী ও বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম।
২৫ বছর আগে চতুর্থ সংবাদপত্র কর্মচারী বেতন বোর্ডের দেওয়া আয়কর সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত হাই কোর্ট অবৈধ ঘোষণা করেছিল। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল মঞ্জুর করে বুধবার রায় দেয় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, চতুর্থ সংবাদপত্র কর্মচারী বেতন রোয়েদাদ ঘোষণা করা হয় ১৯৯১ সালের ৯ মার্চ। এর সপ্তম অধ্যায়ে প্রান্তিক সুযোগ-সুবিধা ও আয়কর (ইনকাম ট্যাক্স) অংশে বলা হয়, সকল ক্যাটাগরির সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থায় কর্মরত সকল সাংবাদিক, প্রাশাসনিক কর্মচারী এবং প্রেস শ্রমিকদের বেতনের (ওয়েজ) উপর আরোপিত আয়কর আগের মতো সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার কর্তৃপক্ষকেই দিতে হবে।
এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সংবাদ লিমিটেড, ইনকিবাল এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড পাবলিকেশন্স লিমিটেড, খবর গ্রুপ অব পাবলিকেশন্স লিমিটেড, আজাদ পাবলিকেশন্স লিমিটেড ও ইত্তেফাক গ্রুপ অব পাবলিকেশন্স লিমিটেডের মালিক-কর্তৃপক্ষ ওই বছরই রিট আবেদন করে।
প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাই কোর্ট রুল দেয়। রুলে সংবাদপত্র-সংবাদ সংস্থার কর্মীর আরোপিত আয়কর কর্তৃপক্ষের পরিশোধ করার বিধান কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়।
রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ১৯৯৭ সালের ১৪ অগাস্ট হাই কোর্ট রুল যথাযথ (অ্যাবসলিউট) ঘোষণা করে রায় দেয়।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন (লিভ টু আপিল) করে, যা ২০০৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি মঞ্জুর হয়। পরে ওই বছরই রাষ্ট্রপক্ষ নিয়মিত আপিল করে, যা বুধবার শুনানির জন্য ওঠে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাশেদ জাহাঙ্গীর শুভ্র। তবে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।
পরে শুভ্র বলেন, “হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল মঞ্জুর করে রায় দিয়েছে আপিল বিভাগ। হাই কোর্টের ওই রায়ের ওই অংশ বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।”
0 comments:
Post a Comment